নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) এর মৌলিক প্রশিক্ষণ-২০২৫ এর সমাপনী
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে এবং ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নগর প্রতিরক্ষা দলের (টিডিপি) ১০ দিনব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আজ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের ৬৪টি জেলার ৮০টি ওয়ার্ডের মোট ৫,২৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ১৬ জুন শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে নগর প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ, ভূমিকম্প ও বন্যা মোকাবিলা, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা হয়।
প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি মহোদয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম (উপমহাপরিচালক, প্রশিক্ষণ), উপমহাপরিচালক জনাব মোঃ আশরাফুল আলম (উপমহাপরিচালক, ঢাকা রেঞ্জ, ঢাকা), পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নূরুল আবছার (পরিচালক, ডিএমএ), পরিচালক জনাবা ফাতেমা-তুজ-জোহরা (পরিচালক, ভিডিপি-প্রশিক্ষণ) জোন কমান্ডার (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ), জেলা কমান্ড্যান্ট (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর), অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মহাপরিচালক মহোদয় প্রশিক্ষণার্থীদের সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, "আপনারা শুধু একটি বাহিনীর সদস্য নন, বরং এই মহানগরীর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার অংশীদার। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের এলাকায় শান্তি, শৃঙ্খলা ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করাই হবে আপনাদের প্রধান দায়িত্ব। শুধু বাহ্যিক দুর্যোগ নয়, সমাজে বিদ্যমান অবক্ষয় ও অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধেও আপনাদের সচেতন, দায়িত্বশীল ও সমন্বিত ভূমিকা পালন করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, “দেশের যেকোনো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে টিডিপি সদস্যরা যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) যেমন সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছে, তেমনি নগর এলাকায় টিডিপি সদস্যরাও দুর্যোগ ও সংকটকালে আস্থার প্রতীক হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। ভবিষ্যতে এই ভূমিকা আরও জোরদার হবে।”
সমাপনী অনুষ্টানে আমন্ত্রিত বক্তারা বলেন, নগর প্রতিরক্ষা দলের সদস্যরা সমাজে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন। এই প্রশিক্ষণ তাদের নাগরিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করে অনেক প্রশিক্ষণার্থী জানান, এই প্রশিক্ষণ তাদের জীবনে দায়িত্বশীলতার নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
আয়োজকরা জানান, নগর প্রতিরক্ষা দলের কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে আগামীতেও এমন প্রশিক্ষণ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

