গাড়ল পালনে আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকের জোরদার পরিকল্পনা
প্রাণিসম্পদ এর বিজ্ঞানসম্মত বৃদ্ধি দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটানোর একটি অন্যতম নিয়ামক। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী ভিডিপি সদস্যবৃন্দ এ প্রক্রিয়ায় গ্রামাঞ্চলে বহুদিন থেকেই সম্পৃক্ত থেকে আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয় এ কার্যক্রমে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে চাচ্ছেন ভেড়ার একটি উন্নত জাত পালনের মাধ্যমে যা "গাড়ল" নামেই অধিক পরিচিত।
পূর্ণ বয়স্ক একটি গাড়ল সাধারণত ১৭ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেই সাথে গাড়লের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাগল এবং ভেড়া থেকেও বেশী হয়ে থাকে। গাড়লের মাংসও খাসি/ছাগল এবং ভেড়ার চেয়ে সুস্বাদু, একই সাথে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। দেড় বছর বয়স থেকেই গাড়ল বাচ্চা দিতে পারে এবং আকার ও আকৃতি ভেদে ৩ থেকে ৬ মাস বয়সেই বাচ্চা বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়।
বিশেষ এই প্রানিসম্পদের বিস্তারের মহৎ লক্ষ্যে বাহিনী প্রধান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মহোদয়ের কাছে তার কার্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গত ১২ই ডিসেম্বর একটি বিস্তারিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। সেখানে মহাপরিচালক মহোদয় গাড়ল পালনের সুবিধাজনকদিক, আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই বিশেষ প্রজাতি পালনের উপকারীতা সহ আনসার ভিডিপি ক্লাব সমিতিকে কিভাবে এ কাজে অংশীদার করা যায় এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
মহাপরিচালক মহোদয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, নতুন এ প্রজাতি ব্যপকভাবে পালন করা গেলে, বিশেষত লবনাক্ত অঞ্চল বা কোস্টাল বেল্টে যেমন খুলনা, সাতক্ষীরা বা কক্সবাজার অঞ্চলে, তা আমিষের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একডেমীতে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ল পালন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং সেখানে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। অতিশীঘ্র এই আয়োজন ছড়িয়ে যাবে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের আনসার ভিডিপি সদস্যদের কাছে।

