আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎকারী গ্রেফতার
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার সদস্য থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সদস্যদের টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলো মোঃ মেহেরুল ইসলাম। বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয় সদস্যদের আর্থিক প্রতারনা হতে সুরক্ষা ও ভ্রান্ত ধারনা পোষন হতে মুক্ত করার জন্য এই প্রতারককে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট ছিলেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক মনোভাবের কারণে এই প্রতারককে আনসার ব্যাটালিয়ন এর সদস্যদের কতৃক আজ ২৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। এসময়ে তার কাছ থেকে প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সমূহ জব্দ করা হয়। প্রতারক মেহেরুল ইসলামের পিতা- মোঃ মুরছুর আলী মন্ডল, মাতা- মোছাঃ মেহেরা বেগম, গ্রাম- স্বর্গপুর, ডাকঘর- তালোড়া, উপজেলা- দুপচাঁচিয়া, জেলা- বগুড়া। তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরসমূহ (০১৭৯৬৭৩২২১৪, ০১৯৪৬০৮৮৩৫৭ ও ০১৮৯৭৬০১৯০৭)।
গত ২৫/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে অঙ্গীভূত আনসার আন্দোলনের ১৯ সমন্বয়ক সহ পর্যায়ক্রমে রেঞ্জ/বিভাগ ভিত্তিক পিসি/এপিসি/আনসার সদস্যদের কাছে ফোন করে মামলা তুলে নেওয়া এবং পূনরায় চাকুরীতে পুনঃবহালের কথা বলে জনপ্রতি ২০,০০০-৩০,০০০/- টাকা হারে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। তাছাড়া ২০২১ সালে রিক্রুট ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগে ভূয়া কনফরমেশন মেসেজ প্রেরণের দায়ে র্যাব কর্তৃক নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন। বাহিনীর যেকোন বিষয়/কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ব্যতীত কোন প্রলোভন বা প্ররোচনায় কাউকে বিভ্রান্ত হয়ে কোন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন না করার জন্য বাহিনীর ফেসবুক পেইজে অনুরোধ করা হয়।
